সুনামগঞ্জ , বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ , ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালগঞ্জে বৌলাই নদীতে নৌকা ডুবে নিহত ৪, আহত ১ জামালগঞ্জে দূর্নীতির অভিযোগে সদর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বরখাস্ত অর্ধযুগ পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া “এমন ভূমিকম্প গত ২০ বছরে দেখা যায়নি মিয়ানমারে” ডিসিদের প্রতি ১২ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার বিএনপি নেতা কামরুলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের জোয়ার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কারও দলের নয় : কাদের সিদ্দিকী সয়াবিন তেল লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ পণাতীর্থে লাখো মানুষের পুণ্য স্নান শান্তিগঞ্জ-ডুংরিয়া সড়ক নির্মাণকাজের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : জেলা প্রশাসক পূর্ব শত্রুতার জের : বিষ প্রয়োগে রাজহাঁস হত্যা জাফরগঞ্জে জামায়াতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল জামালগঞ্জে দরিদ্র্যদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ জামালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার বাদশাগঞ্জ ক্রিকেট লীগ উদ্বোধন আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস আজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে পণাতীর্থে গঙ্গাস্নান

ডলুরায় ‘অবৈধ পাথর রাজ্য’ : পাথর লুট ঠেকাবে কে?

  • আপলোড সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:০১:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:০৬:৪৬ অপরাহ্ন
ডলুরায় ‘অবৈধ পাথর রাজ্য’ : পাথর লুট ঠেকাবে কে?
শহীদনূর আহমেদতানভীর আহমেদ :: সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা সীমান্তের বিশাল এলাকাজুড়ে দেখা মিলবে অবৈধ পাথরের রাজ্য। ধোপাজান-চলতি নদীর দুই পাড়ে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কয়েক লাখ ঘনফুট পাথর। প্রতিদিন বাড়ছে পাথরের পরিমাণ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীতে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলন করছে একাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট। স্থানীয় শ্রমিকরা নদীতে যে পাথর উত্তোলন করেন তা সিন্ডিকেটের কাছে স্বল্প দামে বিক্রি করে থাকেন। কম দামে কেনা এসব অবৈধ পাথর নদীর পাড়ে স্তূপ করে রাখে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। প্রশাসনের চোখ সামনেই এসব পাথর ট্রলি কিংবা ট্রাকের সাহায্যে নিয়ে যাওয়া হয় সুরমা নদীতীরবর্তী ক্রাশারমিলে। ক্রাশারমিলে প্রক্রিয়াজাত করে স্থানীয় অসাধু পাথর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পাচার করা হয় এসব পাথর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারের এই সম্পদ লুট হলেও রহস্যজনক কারণে এটি বন্ধে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার সরেজমিনে ডলুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধোপাজান-চলতি নদীর দুইপাড় সদর ও বিশ্বম্ভরপুর অংশে ছোট-বড় কয়েকশ পাথরের স্তূপ। শ্রমিকরা নদী থেকে পাথর উত্তোলন করে তা এসব স্তূপে রাখছেন। প্রতি ঘনফুট পাথর ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন বলে জানান একাধিক শ্রমিক। প্রতিটি স্তূপের রয়েছে আলাদা আলাদা ‘মালিক’। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে একাধিক ট্রলি বা ট্রাকে করে স্তূপের পাথর নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। শ্রমিক ও পাথর সিন্ডিকেটের এমন পাথর লুটের হরহামেশা চলতে থাকলেও বাঁধা দিতে দেখা যায়নি সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিজিবিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, পেটের দায়ে আমরা নদীতে যাই। নদীতে সারাদিন যে পাথর তুলি তা বিকালে এনে নদীর পাড়ে বিক্রি করি। ৪০-৫০ টাকা ফুটে এসব পাথর কিনেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, পাথর ব্যবসার সাথে এলাকার প্রভাবশালীদের বেশিরভাগই জড়িত রয়েছেন। তারা ট্রাকে করে ক্রাশার মিলে পাথর নিয়ে যান। সড়ক পথে রাতের বেলায় পাথর পাচার হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। ডলুরা সীমান্ত এলাকায় স্তূপকৃত পাথরকে অবৈধ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, বিজিবি জানিয়েছে এসব পাথর ভারত থেকে বাংলাদেশ এসেছে। শ্রমিক উত্তোলন করে পাড়ে রাখেন। ধোপাজান-চলতি নদী বন্ধ। নদীতে বালি-পাথর উত্তোলনের নির্দেশনা নাই। তাই এই পাথর জব্দ করে নিলামও দেয়া যাবে না। কেননা পাথর নিলাম দিলে এই কাগজের উপর ভর করে সারা বছর পাথর আনা হবে। তাই এই পাথর অবৈধ হিসেবেই থাকবে। কেউ এই পাথর পাচার করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স